প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ময়মনসিংহে উৎসবের আমেজ : সাজ সাজ রব

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৩

মোঃ কামাল হোসেন : ময়মনসিংহ সাজ সাজ রব। দীর্ঘ চার বছর পর শনিবার (১১ মার্চ) ময়মনসিংহ আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনকে ঘিরে ময়মনসিংহ সেজেছে নবরূপে। নগরীর প্রতিটি সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো নগরী। প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতেও শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্লেক্স। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে নগরী যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে।

ময়মনসিংহে আওমীলীগ স্মরণকালের স্মরণীয় জনসভা করতে যাচ্ছে

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ময়মনসিংহ নগরীর প্রবেশপথ শিকারিকান্দা থেকে নগরীর মাসকান্দা বাইপাস, চরপাড়া, মাসকান্দা, নতুনবাজার, গাঙ্গিনারপাড়, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, কাচিঝুলি, টাউনহল মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই জনসভাকে ঘিরে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি কাড়তে কয়েক কোটি টাকার তোরণ, ব্যানার আর প্যানাফ্লেক্স নির্মাণ করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটুর উদ্যোগে নগরীজুড়ে পাঁচ শতাধিক বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণ শোভা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ এমপি ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত প্রচুর সংখ্যক বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন, তোরণ নির্মাণ করেছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সহ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের অনুসারীরাও পাঁচ হাজারের বেশি ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়েছেন। এর বাইরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও প্যানাফ্লেক্স, ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শনিবার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ১৫ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বসে নেই দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পৃথক বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী ও ১৪ দলের সংগঠনগুলো। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর প্রতিটি সড়কে দিনরাত চলছে মাইকিং। রেকর্ড সংখ্যক জনসমাগম ঘটিয়ে ‘ময়মনসিংহের মাটি আ.লীগের ঘাঁটি’ চিরন্তন এই প্রবাদ আবারো নতুন দলীয় প্রধানের সামনে তুলে ধরতে চান নেতাকর্মীরা।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, দেশের সার্বিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়নে দেশবাসীর কাছে আস্থা অর্জন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহকে বিভাগসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বদলে দিয়েছেন। আর এ কৃতজ্ঞতা থেকেই দলীয় সভানেত্রীকে স্বাগত জানাতে আমরা সর্বোচ্চটুকু করছি। আশা করছি জনসভায় ১০ থেকে ১৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হবে। যা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম জানান, নৌকার আদলে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সমাবেশের জন্য সকাল থেকে রাত অবধি প্রচার-প্রচারণা চলছে। এটিকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। এছাড়া নেত্রীর আগমনের খবরে উচ্ছ্বসিত গোটা ময়মনসিংহবাসী।
জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী কী কী উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তার তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ফিরতি নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি।