তারাকান্দায় বিদ্যালয়ে নান্দনিক ছাদবাগান

প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২২

রফিক বিশ্বাস, তারাকান্দা থেকে :

ছাদে গেলেই চোখে পড়ে সারি সারি ফুল ও ফলগাছ। গাছে গাছে ফুটে আছে লাল, হলুদ, সাদাসহ নানা রঙের অসংখ্য ফুল। পাখির কলকাকলিতে মুখর ছাদ। এমন দৃশ্য দেখা যায় তারাকান্দা উপজেলার তালদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ে ৯ বছর ধরে ছাদে বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু ছাদেই নয়, পুরো বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছে অসংখ্য ফুল ও ফলের গাছ।

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে অর্ধশতাধিক জাতের ফুল ও ফলগাছ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডালিম, জামরুল, কতবেল, লেবু, বিলম্বী, পেয়ারা, পেঁপে, আম, আমড়াসহ নানা ফলের গাছ। আর ফুলের মধ্যে রয়েছে পারুল, গোলাপ, টগর, বেলি, বিল্ডিং হার্টস, অগ্নিশ্বর, তুলসী, গন্ধরাজ, মেহেদি, এরিকা পাম্প, চেরি, কাঁটা মুকুটসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল ও পাতাবাহার।

বিদ্যালয়ের সামনে, পেছনে ও পাশের জায়গায় কৃষ্ণচূড়া, দেবদারু, আম ও আমড়াগাছ লাগানো হয়েছে। পেছনের অংশে রয়েছে সবজি বাগানও। পেঁপেগাছে ফল ধরেছে।

প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার জোয়ারদার জানান, নিজের শখ থেকেই ২০১১ সালে বিদ্যালয়ে বাগান করা শুরু করেন তিনি। প্রথমে বিদ্যালয়ের চারপাশে গড়ে তোলেন ফুল ও ফলের বাগান। পরে টব কিনে ছাদে রোপণ শুরু করেন ফুল ও ফলের গাছ। এখন অনেকেই এ ছাদবাগান দেখতে আসেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে ও বারান্দায় রয়েছে দেশি-বিদেশি লেখক-সাহিত্যিকের বিভিন্ন ছবি টানানো।

এ ছাড়া আছে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও সাতই মার্চের ভাষণের লিখিত পুরো অংশ। তারাকান্দা উপজেলার ১৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র আইসিটি ক্লাসরুম রয়েছে এ বিদ্যালয়ে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এবং বিদ্যালয়কে সৌন্দর্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে ফুল ও ফলের গাছে সবুজের সমারোহ করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় নিজেকে ক্লান্ত মনে হলে বাগানে এলে তা দূর হয়। বাগানের দেখভাল ও পরিচর্যা আমরা সব শিক্ষক মিলে করি। এ কাজে সহযোগিতা করে দপ্তরি।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা, দীপশিখা সেন ও কৃষ্ণ রাণী মন্ডল জানান, ক্লাসের ফাঁকে বাগানে যান তাঁরা। এতে তাঁদের আনন্দ লাগে।
তারাকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফা হাকিম বলেন, ‘বিদ্যালয়ে ছাদবাগান করে প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষক। বাগানটি পরিদর্শন করে আমি অভিভূত হয়েছি। এ রকম বাগান করার জন্য সব প্রধান শিক্ষককে বলে দেওয়া হবে।’